breaking

clean-5

clean-5

clean-5

clean-5

Share This
থানকুনি আমাদের দেশে প্রয়োজনীয় ও গুণসম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। থানকুনি পাতা দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। চিকিৎসার অঙ্গনে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম।

প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এর ভেষজ গুণ থেকে। অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে ডাকা হয়। এই হলো থানকুনি পাতার প্রাথমিক পরিচিতি।

ভেষজের দুনিয়াতে থানকুনির স্থান রয়েছে অনেক ওপরে। কারণ এর রয়েছে নানান গুণ। থানকুনি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। কোনো প্রকার যত্ন ছাড়াই জন্মে। মাটির ওপর লতার মতো বেয়ে ওঠে। পাতা গোলাকার ও খাঁজকাটা। সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশেই থানকুনি গাছ বেশি জন্মে। তাই পুকুরপাড় বা জলাশয়ের পাশে থানকুনির দেখা মেলে বেশি।

থানকুনির নানা ভেষজ গুণ রয়েছে। সেগুলো হলো :-

  1. * থানকুনি পাতা সকল ধরনের পেটের রোগের মহৌষধ। পাতা বেটে ভর্তা করে বা ঝোল করে খেলে বদহজম, ডায়রিয়া, আমাশয় ও পেটব্যথা সেরে যায়।

  2. * আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

  3. * নিয়মিত থানকুনির রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। জ্বর পেটের পীড়া, আমাশয়, আলসার, বাতের ব্যাথা বিভিন্ন অসুখের ওষুধ হিসেবে এটির ব্যবহার রয়েছে।

  4. *  থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

  5. *দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁত ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।

  6. *থানকুনি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সংবহনতন্ত্রের স্থায়ীভাবে স্ফীত ও বর্ধিত শিরা কমাতে সহায়তা করে।

  7. * থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
«
Next

Newer Post

»
Previous

Older Post


No comments:

Leave a Reply