পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়েই শুরু হচ্ছে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের মধ্যেই আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। প্রস্তুতিটা আরও ঝালিয়ে নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ দুটোও কাজে লাগানো যাচ্ছে। তবে রোববার ঢাকা ও মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া চার দিনের এই ম্যাচ দুটোতে খেলছেন না দলের সেরা তিন ব্যাটসম্যানই।
মুশফিকুর রহিম পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন চোট পান। সেই চোট নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টটিও খেলে গেছেন। তাঁর চোটটাই নতুন। তামিম ইকবাল হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন বিশ্বকাপের আগে আগে। বেশ কিছু দিন ধরে ভোগাচ্ছিল তাঁকে। ভুগছেন এখনো। সাকিব আল হাসানের শিন বোনের চোটটাও পুরোনো। টানা ক্রিকেটের ধকলে তিনিও ভুগছেন। এ কারণে তিনজনকেই বিসিএলের শেষ ম্যাচটায় খেলার বদলে বিশ্রাম দেওয়ার কথা। মুশফিক আর তামিম খেলছেন না, এটা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির চিকিৎসক ড. দেবাশিস চৌধুরী। চট্টগ্রামে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচটিতেও সাকিব খেলবেন না বলে জানা গেছে।
সামনেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। স্বাভাবিকভাবেই দলের সেরা তিন ব্যাটসম্যানের ফিটনেস আর ফর্ম দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেবাশিস চৌধুরী আশ্বস্ত করেছেন, ভারতের বিপক্ষে তিনজনের কেউই অনিশ্চিত নন। সামনে বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি। ভারতের পর পরই আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৬ সালের শুরুতে আসছে জিম্বাবুয়ে। এসব মাথায় রেখেই দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে হচ্ছে।
দেবাশিস বলেছেন, ‘তিনজনের মধ্যে শুধু মুশফিকেরটাই নতুন চোট। সাকিব-তামিমের চোট দুটো পুরোনো। খেলতে গেলে এ রকম টুকটাক সমস্যা হবেই। ছোটখাটো অনেক চোট নিয়েই ওরা খেলে গেছে। খেলাধুলায় এটা হয়-ই।’ তবে তিনি মুশফিকের ব্যাপারে বেশি সতর্ক, ‘মুশফিকের আঙুলটা এখনো সেরে ওঠেনি। সেটা সেরে ওঠা দরকার। আমরা ওর আঙুলটা বেঁধে দিয়েছি। পুরো এক সপ্তাহ ওকে হাতটা ব্যবহার না করতে বলেছি। অন্যান্য ফিটনেস ট্রেনিং সে নিতে পারবে। শুধু হাতটা ব্যবহার না করলেই হলো।’
প্রশ্ন উঠেছে, খুলনা টেস্টে চোটের পরও মুশফিক কেন মিরপুর টেস্টে খেললেন? খেলাটা তার জন্য ভালোর চেয়ে তো ক্ষতিই করেছে বেশি। ওই টেস্টে দুই ইনিংসে ১২ ও ০ রানে আউটও হয়েছিলেন মুশফিক। প্রশ্নটা দেবাশিস চৌধুরীকেও করা হয়েছিল। তাঁর মতে, তখন সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছিল পরিস্থিতি বিবেচনায়। পরিস্থিতি দাবি করেছিল বলেই মুশফিক খেলেছেন। এতে মুশফিকের জন্য বেশি ক্ষতি হয়েছে বলেও মনে করেন না দেবাশিস, ‘ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়েও ও খেলেছে। ও বুঝে শুনেই খেলেছে, কতটা ঝুঁকি সে নেবে, কতটা নেবে না।’
খেলোয়াড়দের ফিটনেসের জন্য জাতীয় দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন মারিও ভিল্লাভারায়ন। ড. দেবাশিস মনে করেন, দলের ফিটনেসের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ‘মেডিকেল ইস্যু’ নেই। যেটা আছে ‘টেকনিক্যাল ইস্যু’। দীর্ঘ ব্যস্ত সূচি মাথায় রেখে কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে হবে, কোন খেলোয়াড়কে কীভাবে ব্যবহার করা হবে।
No comments: