breaking

clean-5

clean-5

clean-5

clean-5

Share This
‘৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে খালেদা জিয়া ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আরো যত দিন যাবে খালেদা জিয়া ততই পচে যাবেন।’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, তিনি সিটি নির্বাচনে জয় লাভ ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বঙ্গবন্ধুর নাতনি রেজওয়ানা সিদ্দিকী টিউলিপের জয়’ উপলক্ষে এক আনন্দ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ সামরিক জান্তা ও সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া আর কিছুই পায়নি। আর শেখ হাসিনা মানেই অর্জন। শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। স্থল সীমান্ত যে চুক্তি হয়েছে তা সফলতার পরম্পরা ছাড়া আর কী হতে পারে।’
ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, যারা মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিকে গোলামী চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন তারাই এই চুক্তি বাস্তবায়নের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান। অথচ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই চুক্তি হয়েছে, তাকে অভিনন্দন জানান না। এরাই একদিন পার্বত্য চুক্তির সময় বলেছিল, পার্বত্য চুক্তি হলে ফেনী ভারত হয়ে যাবে। সেই ফেনী থেকে খালেদা জিয়া নির্বাচন করেন।
সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এমন একজন প্রার্থী দিয়েছিলেন যে কি না বিদেশে লেখাপড়া শিখেছেন অথচ দেশের ভাষায় একটি ফরম পূরণ করতে পারেন না। সে সিটি করপোরেশন চালাবে কী করে?
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ের কারণে বঙ্গবন্ধুর নাতনি রেজওয়ানা সিদ্দিকী টিউলিপকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, টিউলিপ লেবার পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন। এই পার্টি সরকারে নেই। সরকারে থাকলে বাতাসে পাস করতে পারত। সে বাতাসে পাস করেনি।
সমাবেশ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে একটি আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এ মিছিলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
মিছিলের সময় জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাব, সিটি কলেজ, কলাবাগান ও রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত দুপাশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শুক্রবার ছুটির দিন হলেও ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, আওলাদ হোসেন প্রমুখ।
«
Next

Newer Post

»
Previous

Older Post


No comments:

Leave a Reply